রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গভীর রাতে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা মোড়ের কাছে একটি বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাসাটি থেকে নগদ ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট হওয়ার অভিযোগ করেছেন বাড়ির মালিক আবু বকর।
শনিবার (১২ অক্টোবর) মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরিহিত লোকজন ফটকে আসলে দায়োয়ান গেট খুলে দেয়। এরপর তারা তিনতলায় আবু বকরের ফ্ল্যাটে যায়। সাদা পোশাকেও কয়েকজন ছিল। তাদের প্রত্যেকের মুখে মাস্ক ছিল।
বৈধ অস্ত্র নির্ধারিত সময়ে থানায় জমা দেয়া হয়নি, এই অভিযোগে বাসাটি অভিযানের নামে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাকধারীরা। বাড়ির মালিক আবু বকর জানান, রাত সাড়ে ৩টার পর তারা বাসায় প্রবেশ করে। অস্ত্র থানায় জমা দেয়া হয়েছে জানানোর পরও কোনো কথা না শুনে অস্ত্র খোঁজার নামে ঘরের আলমারিগুলো খুলে তছনছ করে ও নগদ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
প্রায় এক ঘণ্টা সময় বাসাটি তাণ্ডব চালানোর পর পোশাকধারীরা বাসাটি ছেড়ে যায়। বাসাটি থেকে নগদ সাড়ে ৭৫ লাখ নগদ টাকা এবং প্রায় ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায। নগদ টাকাগুলো জমি বিক্রির বলে জানিয়েছেন আবু বকর। তিনি বলেন, বাসার ভেতরে ১২-১৫ জন প্রবেশ করেছিল। বাইরেও তাদের লোক ছিল। তারা দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি প্রাইভেটকার নিয়ে এসেছিল।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি ইফতেখার বলেন, ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তারা কোনো বাহিনীর সদস্য কিনা তাও যাচাই করা হচ্ছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, আমাদের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, ব্যবহৃত গাড়ির নাম্বার যাচাই করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের কাজ চলছে।
র্যাবের কেউ জড়িত কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করছি। তদন্তে বাহিনী বা বাইরের যার যার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।