ডেমোক্র্যাট হোয়াইট হাউস প্রার্থী কমলা হ্যারিস শনিবার একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ করবেন, যা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিশ্চিত করবে। তার প্রচারদল এ তথ্য জানিয়েছে। এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চাপ দেওয়া, যাতে তিনি তার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নথি প্রকাশ করেন।
৫৯ বছর বয়সী কমলার প্রচারদলের একজন উপদেষ্টা জানান, মেডিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ থাকবে, ‘তিনি (কমলা) প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সফলভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তা রাখেন।
রিপাবলিকান ট্রাম্প জুলাই মাসে ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হোয়াইট হাউসের প্রতিযোগিতা থেকে সরে যাওয়ার পর মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়ে উঠেছেন। বাইডেন তার বিতর্কিত পারফরম্যান্সের পর দলের মধ্যে তার নিজস্ব মানসিক তীক্ষ্ণতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর তিনি কমলাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেন। তবে ট্রাম্পের সুস্পষ্ট প্রাণশক্তির কারণে তার বয়স এখন পর্যন্ত ভোটের ক্ষেত্রে তার সম্ভাবনার বিরুদ্ধে কোনো প্রভাব ফেলেনি এবং ৫ নভেম্বর কমলার সঙ্গে তার ভোটযুদ্ধ চলমান রয়েছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দল ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শারীরিক স্বাস্থ্য ও মানসিক দক্ষতার ওপর আলোকপাত করতে চায়, যিনি এখন পর্যন্ত তার চিকিৎসাসংক্রান্ত কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি। এ ছাড়া কমলার প্রচারদল একই সঙ্গে নিউ ইয়র্ক টাইমসে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সিরিজ প্রতিবেদনের দিকে নজর আকর্ষণ করেছে, যেখানে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, ট্রাম্প তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে মৌলিক তথ্য প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সংবাদপত্রটি ট্রাম্পের ভাষার একটি বিশ্লেষণও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায়, তার বক্তৃতাগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে দীর্ঘ, ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং অশালীন হয়ে উঠছে, যা বিশেষজ্ঞরা মানসিক পরিবর্তনের সম্ভাব্য সংকেত হিসেবে দেখছেন।
কিন্তু তিনি তার প্রচারের জন্য কোনো পূর্ণ মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ করেননি। তবে ২০২৩ সালের শেষের দিকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে তার সাবেক চিকিৎসক থেকে পাওয়া একটি নোট প্রকাশ করেছেন, যেখানে তার স্বাস্থ্যের অবস্থাকে ‘চমৎকার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও সেখানে বিস্তারিত তথ্য কম ছিল। পাশাপাশি তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোন ধরনের শারীরিক পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন তার উল্লেখও সেখানে ছিল না।জুলাই মাসে পেনসিলভানিয়ায় একটি সমাবেশে ট্রাম্পের কানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সেই একই চিকিৎসক রনির জ্যাকসন একটি বিবৃতিতে বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ভালো আছেন।
এ ছাড়া ট্রাম্প ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন জ্যাকসনের সঙ্গে একটি মানসিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি তার চিকিৎসকের নাম ভুল উচ্চারণ করে তাকে ‘রনি জনসন’ বলে ডাকেন।যদি ট্রাম্প নভেম্বরে নির্বাচনে বিজয়ী হন তবে দ্বিতীয় মেয়াদের শেষে তার বয়স হবে ৮২ বছর।