জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা সাড়ে ১৫ বছর মজলুম ছিলাম। প্রত্যেক সদস্যকে বিচক্ষণতার অধিকারী হতে হবে। আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাওয়া যাবে না। দ্বীনের সৌন্দর্য হচ্ছে সবার সঙ্গে সাম্য রক্ষা করা। সাংগঠনিক শৃঙ্খলার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
রোববার (১৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগর জামায়াতের আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান। এতে দারসুল কোরআন পেশ করেন বাইতুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আবু নোমান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এখলাসপূর্ণ সহিহ নিয়ত নিয়ে আল্লাহর জন্য কাজ করতে হবে। আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ী হবে। আমাদের বেশি বেশি কোরআন ও হাদিস পাঠ করতে হবে। কাউকে সন্তুষ্ট করতে কোনো কিছু করা যাবে না। যা কিছু করতে হবে সব হবে আল্লাহর জন্য। মুমিনের সব কাজ হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আল্লাহ যাকে হেদায়েত দান করেন তিনি হেদায়াত প্রাপ্ত হন। হেদায়াত প্রাপ্ত হলে সেই মানুষের জীবন পাল্টে যায়। মুমিনের জন্য পেছনে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। মুমিনদের আল্লাহ যেকোনোভাবে সাহায্য করবেন। বেশি বেশি আত্মসমালোচনা করতে হবে। আল্লাহর জন্য নিজেকে সোপর্দ করতে হবে। চিন্তা চেতনা, আমল-আখলাক সবকিছুতে আল্লাহকে হাজির নাজির জানতে হবে। ইনসাফ অত্যন্ত কঠিন একটি বিষয়। জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষকে দ্বীনের জন্য উৎসাহিত করতে হবে। আমরা দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর মজলুম ছিলাম।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না। বাংলার জমিনে জামায়াত আল্লাহর দ্বীনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কারো ছোটখাটো বিষয়কে বড় করে দেখা যাবে না। ঘুমানোর আগে অপরকে ক্ষমা করে দিয়ে ঘুমাতে হবে। বিদ্বেষ মুক্ত অন্তরের অধিকারী হতে হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, চট্টগ্রাম ইসলামের প্রবেশদ্বার। আগামী দিনে আমরা যেন এই চট্টগ্রাম থেকে ইসলামী বিপ্লবের সূচনা করতে পারি সেজন্য প্রত্যেক সদস্যদের ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ফ্যাসিবাদ ও জুলুমের ধারা থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। আর কোনো ফ্যাসিবাদকে এই জমিনে মাথাচাড়া দিতে দেওয়া হবে না। আজ বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতের নেতৃত্ব দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। সৎ, যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্ব না হলে বাংলাদেশের কোনো কল্যাণ হবে না।
তিনি বলেন, দেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশ জামায়াত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তৈরি করেছেন। এ দেশের মানুষ জামায়াতকে নিরাপদ মনে করে। দেশের খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সব মানুষ জামায়াতকে দেশ পরিচালনায় দেখতে চায়।