বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুতের শাটডাউন চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল থেকে বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ আছে। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে চান। তাছাড়া দাবি আদায়ে সারা দেশের কর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তানোর বিভাগীয় সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) কামাল হোসেন জানান, দেশের ৬৪টি জেলায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আছে। এসব সমিতিতে কর্মরত আছেন প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা দেশের ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। দেশের মোট গ্রাহকের হিসাবে এটি প্রায় ৮০ শতাংশ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বোর্ডের কাছে কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দাবি আদায়ে প্রায় ১০ মাস ধরে তারা আন্দোলন করছিলেন। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এমন ২০ জন কর্মকর্তাকে গতকাল (বুধবার) চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের এই কর্মকর্তা বলেন, চাকরিচ্যুত ২০ জনই কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে পাঁচজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তারা চাকরিচ্যুতির বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর চাকরিচ্যুতির এই আদেশ প্রত্যাহার ও তাদের আগের দাবি আদায়ে তারা বিদ্যুৎ শাটডাউন রাখার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
তারা ঢাকায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঘেরাও করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী রোববার থেকে এ কর্মসূচি চলবে।
রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক রমেন্দ্র চন্দ্র রায় বলেন, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চালু করার চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও চালু করতে পারিনি।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ শাটডাউন করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি। বিদ্যুৎ চালু করার ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠ পর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।