বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা সিটি কলেজ অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টা পর শিক্ষার্থীরা একে একে জড়ো হতে থাকেন মুল ফটকের সামনে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় তারা বর্তমান অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ নিয়ামুল হক এবং উপাধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ বিধি বহির্ভূতভাবে কলেজে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তারা অন্যায় ভাবে এ পদ দখল করে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য কলেজকে ব্যবহার করছেন। সেজন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাদের পদত্যাগের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।
অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ নিয়ামুল হক এবং উপাধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান পদত্যাগের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে যথাযথ সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন চলবে বলে জানান।
ঢাকা সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক বেদার উদ্দিন আহমেদকে গত ৭ আগস্ট ছাত্রদের একদল তরুণ-তরুণী ঢুকে রুমের দরজা বন্ধ করে জোর করে পদত্যাগ করেত বাধ্য করান। একদল শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় জড়িত। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় অধ্যক্ষ বেদার উদ্দিন আহমেদকে। পাঁচ ঘণ্টা জিম্মি থাকার পর প্রাণভয়ে দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

এখানেই শেষ নয়, ছাত্রদের ওই দলটি আরও ছয় জন শিক্ষক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসেন চৌধুরী ছাড়াও রয়েছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক মো. দেলোয়ার রহমান দিপু, ফরিদা পারভীন, চৈতালী হালদার, মো. আহসান হাবীব রাজা, মোহাম্মদ কায়কোবাদ সরকার ও আল ফয়সাল আক্তার।

ভুক্তভোগী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদ দখল করতে কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ে এসে অধ্যক্ষকে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনার পর ওই দিনই সন্ধ্যায় নেয়ামুল হক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন। সেদিনই ছুটিতে থাকা সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন চৌধুরীকে হটিয়ে এই পদে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মোখলেছুর রহমানকে নিয়োগ দেন

সম্পর্কিত পোস্ট