ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। খালে পয়োবর্জ্যের সংযোগ দেয়া যাবে না, ময়লা ফেলা যাবে না। ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ শহরে পরিণত করতে নানা ধরনের বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টায় রামপুরা খালে পরিষ্কার অভিযান পরিদর্শনকালে খালে ময়লা না ফেলার আহবান জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক।
তিনি বলেন, প্লাস্টিকের, পিলিথিনের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরণের মাইক্রো প্লাস্টিক খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে জটিল রোগের সৃষ্টি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। তাই আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান এলাকাবাসী ও পরিছন্ন কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রশাসক বলেন, বর্জ্য পরিষ্কার ডিএনসিসির একটি নিয়মিত কাজের অংশ। প্রতিদিন আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রাস্তা, ফুটপাত ও গৃহস্থালির বর্জ্য এবং খালের বর্জ্য অপসারণ করে।
জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে সারা দেশে জাতীয়ভাবে ১৫ দিন ব্যাপী খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমারও ডিএনসিসি থেকে এই বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছি। রামপুরা খালে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হল এবং পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির অন্যান্য খালেও এই কার্যক্রম চলবে।
এসময় তিনি খালের জমি কেউ যেন অবৈধভাবে দখল করতে না পারে এ ব্যাপারে সোসাইটির নেতৃবৃন্দকে সোচ্চার থাকার আহবান জানানো হয়। রামপুরা খাল পরিষ্কার কার্যক্রমে ডিএনসিসির ২৫০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী অংশ নেয়। একটি অত্যাধুনিক ফ্লোটিং এস্কেভেটর ব্যবহার করে খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার করা হয়।
ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম পরিষ্কার কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক