মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস, ‘শহীদি মার্চ’ আজ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস পূর্ণ হলো আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। এ উপলক্ষ্যে অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আজ ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের পক্ষ থেকে সকলকে এই শহীদি মার্চ পালনের আহ্বান জানানো হয়।
সমন্বয়করা জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ভাইদের স্মরণে এবং তাদের স্মৃতি ধারণ করে আজ সারাদেশে এই কর্মসূচি পালিত হবে। সেখানে আহত এবং শহীদদের অভিভাবকদেরকেও অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান সমন্বয়করা।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা মনে করি, যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে তাদের স্মরণ করার সময় এটি। এজন্য আমরা আগামীকাল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে সারা দেশে শহীদি মার্চ করব। এতে সব শহীদের পরিবারকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই। আমরা চাই, আগামীকালও সারা দেশে ছাত্র-জনতার গণজোয়ার নামবে। বিকেল তিনটায় রাজু ভাস্কর্য থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে শহীদি মার্চ শুরু হবে। 
তিনি বলেন, রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। এখনো আমাদের ভাইয়েরা শরীরে ক্ষতচিহ্ন নিয়ে কাতরাচ্ছে। গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ, কীভাবে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছে তার ডকুমেন্টেশন করতে হবে। অনেকে আমাদের বিজয় মিছিল করতে বলছে। কিন্তু যতদিন না নতুন বাংলাদেশ নির্মিত হচ্ছে, যতদিন না মানুষ তার অধিকার ফিরে পাচ্ছে ততদিন বিজয় মিছিল করা সম্ভব নয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, আজ দুপুর ৩টায় ঢাকায় ‘শহীদি মার্চ’ শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে। এরপর নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গত জুলাইয়ের শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলন দমনে হামলা-নির্যাতনের এক পর্যায়ে তা সরকারের পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়।
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেয়।

সম্পর্কিত পোস্ট