পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খানকে সামরিক আইনের আওতায় বিচারের মুখোমুখি করার ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা সতর্ক করেছে, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহার করলে সামরিক আইনে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। খবর ডনের।
বৃহস্পতিবার (৬ ওসপ্ম্বের) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। পাকিস্তানের সেনা সদর দফতরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) কার্যালয়ে আহমেদ শরিফ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কেউ যদি সামরিক আইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করেন কিংবা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে এই আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
ইমরান খানকে সামরিক আইনে বিচারের মুখোমুখি করার সম্ভাবনা আছে কি না-ব্রিফিংয়ে আহমেদ শরিফ চৌধুরীর কাছে তা জানতে চাওয়া হয়। তবে প্রশ্নটি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এটি আদালতের বিবেচনার বিষয়। সাংবাদিকের এ ধরনের প্রশ্নকে তিনি পূর্বানুমান বলে উল্লেখ করেন। তবে কোন পরিস্থিতিতে সামরিক আইনের আওতায় বেসামরিক ব্যক্তির বিচার করা যেতে পারে, তা উল্লেখ করেন এই সেনা কর্মকর্তা।
ডন জানায়, সামরিক আইনের আওতায় ইমরান খানকে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে বলে দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য কোর্ট মার্শাল ঠেকাতে তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়ার পর এ গুঞ্জন আরও জোরালো হয়ে ওঠে।
গত মাসে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচনা করা হয়। ইমরান খানই তাকে আইএসআইর প্রধান করেছিলেন।
গত বছরের ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় সামরিক আইনে বিচারের মুখোমুখি করার আশঙ্কায় ইমরান খান ওই আবেদন করেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এফআইআর হয়েছে। ফয়েজ হামিদ গ্রেফতার হওয়ার পর ইমরান খানের উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। এমন গুঞ্জন আছে যে তার বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হতে পারেন ফয়েজ হামিদ।