এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যে সিদ্ধান্ত নিতে একদিন লাগার কথা তা পাঁচ দিনেও হচ্ছে না। উপরন্তু প্রশাসনে চলছে অস্থিরতা। জনপ্রশাসনের অস্থিরতার বিষয়ে সরকারের থাকা আলী ইমাম মজুমদারের ভূমিকা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া সেখানে অস্থিরতার কোনো সুযোগ নাই। আমরা সরকারের ভূমিকায় সত্যিকার অর্থেই বিপ্লবের চেতনা দেখতে চাই, কথার কথা নয়।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিজয়নগরস্থ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। মঞ্জু বলেন, আমরা বারবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরও এখনো পুলিশকে সক্রিয় করার কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে পুলিশি নিস্ক্রিয়তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও প্রমোশন, পদায়ন এবং পোস্টিংসহ নানা কারণে জনপ্রশাসনের অস্থিরতা নিরসনের আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের ওপর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এবি পার্টি বলেছে, গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে অস্থিরতা ও দীর্ঘসূত্রিতা কোনোটাই কাম্য নয়। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে না পারলে সংস্কারমূলক কোনো পদক্ষেপই সফল করা যাবেনা বলে মনে করে দলটি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, বিএম নাজমুল হক, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন।
মঞ্জু ৬টি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন নিজেই একটা কমিশন। এই জায়গা গুলোতে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখানে তাদেরকে সরাসরি কমিশনের চেয়ারম্যান আকারে নিয়োগ দিলেই তারা যথেষ্ট সংস্কার করতে পারতেন। নতুন করে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেলার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আমরা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছি, অন্তত সংস্কারের একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা বারবার বলছি এখনই পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে এবং প্রশাসনের সকল অস্থিরতা দূর করতে হবে।