ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত সঠিক অর্থনৈতিক সংস্কারের মধ্যে দিয়ে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা উন্মোচনে সাহায্য করতে পারে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সম্পর্কিত আলোচনার পর দূতাবাস এ কথা জানায়।
দূতাবাস আরো বলেছে যে জ্বালানি নিরাপত্তা, ডেটা সেন্টার থেকে পরিবহন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতির নানান ক্ষেত্রে মার্কিন ব্যবসা-বাণিজ্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যান, পরিচালক জেরোড ম্যাসন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (অন্তর্বর্তীকালীন) হেলেন লাফেভ, রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক কাউন্সেলর এরিক গিলান এবং যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মিশন পরিচালক রিড এশলিম্যান।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (এমচ্যাম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, মেটলাইফ ইন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলা উদ্দিন আহমেদ, কান্ট্রি ম্যানেজার মাস্টারকার্ড সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং জিই-এর কান্ট্রি ম্যানেজার নওশাদ আলী।
এর আগে সকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যান ঢাকায় আসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম তাকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রথম মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানানোর জন্য ঢাকা একটি ব্যাপক ও বহুমুখী আলোচনার জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তার ভারত সফর শেষ করে আজ বিকেলে প্রতিনিধি দলে যোগ দিয়েছেন। অন্যান্য আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পাশাপাশি মার্কিন প্রতিনিধি দলটি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন, এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
পররাষ্ট্র সচিব সফর প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, আলোচনায় শুধু একটি বিষয় নয়, বিস্তৃত বিষয় থাকবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্রের মতে, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকারে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরকালে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।