মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

তাড়াহুড়ো নয়, লম্বা সময়ও নয় যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দাবি জামায়াতে ইসলামীর

তাড়াহুড়ো নয়, লম্বা সময়ও নয় যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামায়েত ইসলামীর পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম পরিদর্শনের অংশ হিসাবে দৈনিক সময়ের আলো কার্যালয়ে এসে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. রেজাউল করিম বলেন, নতুন স্বাধীনতার পর সংবাদপত্র যে নতুন করে তাদের কথা বলার সুযোগ পেয়েছে, মানুষের মত প্রকাশের যে সুযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা অব্যাহত থাকুক, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমগুলো সত্য প্রকাশের মাধ্যমে তাদের জায়গাটিকে তৈরি করবে এবং ভূমিকা রাখবে।
ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রেজাউল করিম বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ফ্রি ফেয়ার ইলেকশনের মাধ্যমে নির্বাচনের যে দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা, এটা যেন ক্ষুণ্ণ না হয় তেমনি একটা পরিবেশ আমরা চাই। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি যার ফলে আমাদের কথা বলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিগত স্বৈরাচারী সরকার ১৫ বছরে যে জুলুম করেছে, মানুষকে হত্যা করেছে, আয়নাঘর তৈরি করেছে ও মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করেছে, সে পথে যদি আবার অন্য কোনো রাজনৈতিক দল হাঁটে তাহলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আর হবে না।
ড. রেজাউল করিম বলেন, দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ সকল দিক থেকে ভঙ্গুর অবস্থা বিরাজমান। গণভবনের এখন যে এলোমেলো চিত্র, রাষ্ট্রেরও সেই একই অবস্থা। গণভবনকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে জাদুঘর করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটিকে আমরা যৌক্তিক মনে করি।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন থেকে সকল রাজনৈতিক দলকে শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত। কারণ পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। এছাড়াও তিনি বলেন, অবৈধভাবে যারা এতদিন জবরদখল করে ক্ষমতায় ছিলো, এক রাতের ব্যবধানে তারা পালিয়েছে। সুতরাং যারা রাজনীতি করে তাদের জন্য এটি একটি বড় শিক্ষা। আমরা যদি মানুষের মনের ভাষা বুঝতে না পারি তাহলে সেই আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতির ভাষা সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মতবিনিময়কালে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার ও শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আবু সাঈদ মন্ডল এবং সময়ের আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কমলেশ রায়, বার্তা প্রধান আলমগীর হোসেন ও বিপনণ প্রধান কামরুল হাছান।

সম্পর্কিত পোস্ট