ইউএস-বাংলা ইনস্টিটিউট অব এভিয়েশন (ইউআইএ), ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেইন্টেনেন্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের (সিএএবি) এএনও (এয়ারওয়ার্দিনেস) পার্ট ১৪৭ এর অনুমোদিত মেইন্টেনেন্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে। এই অনুমোদনের ফলে ইউআইএ, এটিআর ৭২-৬০০ এবং বোয়িং ৭৩৭- ৬০০/৭০০/৮০০/৯০০ উড়োজাহাজের বি১ এবং বি২ টাইপ কোর্সের তত্ত্বীয় এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর এই অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে নতুন এয়ারলাইন্স হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা এবং পরবর্তী সময়ে ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক সাফল্যকে ধরে রাখার জন্য সূচনালগ্ন থেকেই কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে আসছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এভিয়েশন প্রশিক্ষণ এমনিতেই একটি ব্যয়বহুল বিষয়; উপরন্তু টাইপ ট্রেনিং সবচাইতে ব্যয়বহুল, যেখানে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রার প্রয়োজন হয়।
এতদিন দেশের প্রতিভাবান তরুণরা যারা এভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছেন, তাদের বিদেশে ব্যয়বহুল প্রশিক্ষণের জন্য যেতে হতো। ইউআইএ’র এই অনুমোদন লাভের ফলে ইউএস-বাংলার প্রকৌশল কর্মীবাহিনী দেশে এ প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে।
অন্যদিকে অন্য এয়ারলাইন্সের ইচ্ছুক প্রার্থীরাও নামমাত্র ফি পরিশোধ করে বাংলাদেশেই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, কোর্সের মানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পার্ট ১৪৭ এর বিভিন্ন শর্ত পূরণের লক্ষ্যে, একদল প্রশিক্ষক গত দুই বছর ধরে নিরলস পরিশ্রম করে অবশেষে এ অনুমোদন লাভে সমর্থ হয়েছে।
টাইপ কোর্সের পাশাপাশি, বর্তমানে পার্ট ১৪৭ বেসিক কোর্স (বি১.১ এবং বি২) অনুমোদনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, ইউআইএ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে অনুমোদিত বেসিক কোর্সের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হবে। এভিয়েশন জগতের ভবিষ্যৎ জনবলের জন্য এটি হতে যাচ্ছে এক বিশাল সুযোগ, যেখানে তারা দেশে থেকেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০১৪ সালে দুটি ড্যাশ ৮ বিমান দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রা শুরু করে। ইতোমধ্যে এটিআর ৭২-৬০০, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং সর্বশেষ এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সংযোজনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে চলাচল করে বাংলাদেশের জনগণের মনে আস্থা তৈরি করতে পেরেছে।