দুর্দান্ত বোলিং করে প্রথম ইনিংসেই জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে রেখেছিলেন ননকুলুলেকো এমলাবা। ২৯ রানের বিনিময়ে সাজঘরে পাঠান চার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটারকে। বাঁহাতি এই স্পিনারের দাপুটে বোলিংয়ে ১১৮ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয় নারী দল। এরপর সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে তাজমিন ব্রিটস ও লাউরা ওলভার্টের অবিছিন্ন ওপেনিং জুটিতে ১৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ঘরের মাঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকেও একই ব্যবধানে হারানোর লজ্জা দিয়েছিল দলটি।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে ফাইনাল খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারও শক্ত দল গড়েছে তারা। এমন বাস্তবতা ও কন্ডিশন বিবেচনায় টসে জিতে ক্যারিবীয়দের প্রথমে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লাউরা ওলভার্ট। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে শুরু থেকেই গোছাল বোলিং উপহার দেয় প্রোটিয়া বোলাররা।
চতুর্থ ওভারেই বল হাতে পেয়ে কিয়ানা জোসেফকে বোল্ড করেন এমলাবা। অন্যপ্রান্ত থেকে জোড়া উইকেট শিকার করে তার সঙ্গে যোগ দেন অভিজ্ঞ মারিজান কাপ। ৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ধ্বংসস্তূপ থেকে দলটিকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালান স্টিফানি টেইলর ও সিমানি ক্যাম্পেবল। তবে ১২তম ওভারে ২১ বলে ১৭ রান করা ক্যাম্পেবলকে সাজঘরে ফেরান এমলাবা। ওই উইকেট পাওয়ার পরের বলেই চিনলি হেনরিকে ফিরিয়ে দিলে ফের ক্যারিবীয় ইনিংসে ধস নামে। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রানেই দলটির ইনিংস শেষ হয়।
ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ৩ ওভারেই ২৬ রান তুলে ফেলে তারা। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। দুই ওপেনারের জোড়া অর্ধশতকে সহজ জয় দিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভসূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।