মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সড়ক ও সেতু খাতে ১৫ বছরে দুর্নীতির হয় ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা : টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সড়ক ও সেতু খাতে সরকারের মোট অর্থ বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এই বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে সার্বিকভাবে দুর্নীতির হার ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ, যা টাকার অংকে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছর থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছরের মধ্যে সমাপ্ত প্রকল্পসমূহ এই গবেষণার আওতাভুক্ত (এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরুর সময় ২০১০-১১ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত)। এই গবেষণায় সড়ক নির্মাণ, সড়ক উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ, সেতু উন্নয়ন (অনূর্ধ্ব ১৫০০ মিটার) ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ সম্পর্কিত প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। শেষ হয়ে যাওয়া প্রকল্প সংখ্যা, ধরন, বরাদ্দ ও ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ১০টি জোনের মোট ১৩টি সার্কেলের ২১টি বিভাগীয় দপ্তরের (জেলা পর্যায়) আওতাধীন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন উপস্থাপন শেষে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্পগুলোতে রাজনীতিবিদ, আমলা ও ঠিকাদারদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত রয়েছে। একেবারে নিম্ন পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত এসব দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।

তিনি বলেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের ঘুষ লেনদেনে ৪০ থেকে ৪৩ শতাংশ অর্থ লোপাট করা হয়। এখন ত্রিপক্ষীয় সিন্ডিকেট যদি আমরা ভাঙতে না পারি, তাহলে দুর্নীতিবিরোধী কোনো কার্যক্রম সফল হবে না।

তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার পরিবর্তন না হওয়ায় রাতারাতি পরিবর্তন আশা করা সম্ভব না।

সম্পর্কিত পোস্ট