বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘চুপ্পু মাস্ট গো, যাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে কথা হয়েছে। চু
রোবাবার (২৭ আক্টোবর) চুপ্পুর যাওয়ার বিষয়ে ১২ দলীয় জোট নেতারা নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন একা জানান। ১২ দলীয় জোট বলেছে, ফ্যাসিবাদ পূর্নবাসনের ক্ষেত্রে চুপ্পু গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারে। চুপ্পু সাংবিধানিকভাবেই এই পদে থাকতে পারেন না। সেই জায়গায় ১২ দলীয় জোটের নেতারা একমত হয়েছেন। তবে তারা এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যের কথা বলেছেন। এছাড়া গত ৩টি নির্বাচনকে আমরা অবৈধ দাবি করেছি, সে বিষয়েও তারা একমত পোষণ করেছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, ১২ দলীয় জোটের সাথে এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হবে। চুপ্পুর চলে যাওয়ার বিষয়ে সবাই একমত। চুপ্পুর অপসারন প্রক্রিয়া এবং তার স্থলে কাকে বসানো হবে সেটা নিয়ে আরো আলোচনা দরকার। সবাই আলোচনার দরজা খোলা রেখেছেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা চাই রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহন ও ঐক্যের মধ্য দিয়ে যেন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর অপসারণ ইস্যুতে বিভিন্ন দলের সাথে সংলাপের অংশ হিসেবে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকালে ৪টায় ১২ দলীয় জোটের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিএনপি জানিয়েছে তাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথেও আলোচনা করবেন। তাই বিএনপির নেতারা এ বিষয়ে কে কি বললো সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। বিএনপি তাদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানানোর পর আমরা পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবো।
এতে ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহসানুল হুদা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব প্রফেসর আব্দুল করিম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, নাগরিক কমিটির পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি আদিব মমিন আরিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুউদ প্রমুখ।