তুরস্কে অনুষ্ঠিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে দেশে ফিরেছেন হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। বিমানবন্দরে নামার পর তাকে সংবর্ধনা জানান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমরা।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার ঢাকায় পৌঁছান হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। এরপর তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, ছাদখোলা বাসে করে হাফেজ মুয়াজ মাহমুদকে তার মাদ্রাসায় নেওয়া হবে। ছাদখোলা বাসে হাফেজ মুয়াজের শিক্ষক, সহপাঠীসহ রয়েছেন তার বাবাও।
এর আগে বুধবার স্থানীয় সময় বাদ জোহর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের হাত থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ মেহমানদের উপস্থিতিতে মুয়াজ মাহমুদ সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও হাফেজ মাহমুদ গত ২১ আগস্ট পবিত্র মক্কার মসজিদে হারামে অনুষ্ঠিত কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পর এই প্রথম তুরস্কের আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ প্রথম স্থান লাভ করল। তবে এর আগে গত ২৮ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে এ প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের শত শত মেধাবী হাফেজদের পেছনে ফেলে তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবেও নির্বাচিত হন।
এ ছাড়াও হাফেজ মাহমুদ চলতি বছরের ২১ আগস্ট মক্কায় ৪৪তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ১২৩টি দেশের মধ্যেও বাংলাদেশ প্রথম স্থান অর্জন করে। সে সময়েও হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ১৫ পারা গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ৪৬তম কেন্দ্রীয় বেফাক পরীক্ষায় নাহবেমির জামাতে অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করেছিলেন। হাফেজ মুয়াজ ঢাকার মিরপুর-১-এ অবস্থিত মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামীর কিতাব বিভাগের ছাত্র। তিনি এই মাদরাসা থেকে হাফেজ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ২৯ অক্টোবর ছিল তুরস্কের ১০১তম প্রজাতন্ত্র দিবস।