যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে শেষ পর্যন্ত রাজকীয় প্রত্যাবর্তনই হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। চার বছর পর ফের দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিপাবলিকান এই নেতা। এমন ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে বিরল। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প পেয়েছেন ২৭৯টি ইলেকটোরাল ভোট, আর ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি। এর ফলে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউজের দখল পাচ্ছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। তবে আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনও ঘোষণা হয়নি। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে।
তবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা দেশজুড়ে বিজয় উদযাপন শুরু করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট নিজেকে ইতোমধ্যেই ‘বিজয়ী’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি একটি ‘অসাধারণ বিজয়’ পেয়েছেন। তার দ্বিতীয় শাসনামল হবে ‘আমেরিকার স্বর্ণযুগ’। রিপাবলিকান এই নেতা আরও বলেন, এটি আমেরিকার জনগণের জন্য একটি বিশাল বিজয়, যা আবারও আমেরিকাকে মহান করে তুলতে সাহায্য করবে।
এদিকে ট্রাম্পের জয়ী হবার খবর সামনে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে তার শপথ ও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ওইদিন আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। এ ছাড়া ওইদিনই প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউজে ওঠবেন। অপরদিকে হোয়াইজ হাউজ ছেড়ে চলে যাবেন জো বাইডেন।
১৮৪৫ সাল থেকেই এই ধারাবাহিকতা চলে আসছে। সে সময় থেকেই নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পরিকল্পনা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং আইনি ও পদ্ধতিগত সুরক্ষাসহ বেশ কয়েকটি কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং শপথ গ্রহণের মধ্যে কিছুটা সময়ের ব্যবধান রাখা হয়। নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের জন্য এই সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।