বাংলাদেশের আকাশে রোববার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় ২১ জুলাই ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে, যা হবে করোনাভাইরাস মহামারীতে দ্বিতীয় কোরবানির ঈদ। রোববার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বৈঠক শেষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এই ঘোষণা দেয়। কমিটির সভাপতি ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, রোববার বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই হিসাবে সোমবার থেকে জিলহজ মাস গণনা হবে। নিয়ম অনুযায়ী, ১০ জিলহজ ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। সেই অনুযায়ী, ইংরেজি মাস হিসাব করে দেখা যায় বাংলাদেশে ২১ জুলাই ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাসের অতি বিস্তার রোধে কঠোর লকডাউনের মধ্যে চলতি বছর মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি কোরবানি ঈদ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত ১৪ মে রোজার ঈদ হিসবে পরিচিত ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। তখনও দেশে সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধের লকডাউন চলছিল।
রোজার ঈদের পরের দুই মাসে দেশে ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। টানা ১৪ দিনের চলমান কঠোর লকডাউনে এখন জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে মানা। রোববার নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংক্রমণ পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বলেছেন, কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সুপারিশ দিলে চলমান বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়তে পারে।
সরকারি এমন ঘোষণা যদি আসে তাহলে কোরবানি ঈদও কঠোর লকডাউনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু হু হু করে বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারিগরি কমিটির পরামর্শে ১ জুলাই থেকে লকডাউন জারি করে সরকার। এই সময় ধরে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে, বন্ধ রয়েছে অফিস-আদালত। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কারও বের হতেও বারণ রয়েছে।
এদিকে মহামারীতে গত ঈদগুলোতে ধর্ম মন্ত্রণালয় ঈদের জামাত মসজিদে দূরত্ব বজায় রেখে আদায় করার নির্দেশনা দিয়েছিল। মুসল্লীদের কোলাকুলি করতেও নিষেধ করা হয়েছিল।
সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন হয়ে থাকে। আর সৌদি আরবে কোরবানির ঈদ উদযাপনের আগের দিন পালিত হয় হজ।