মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

এখনই খুলছে না পোশাক কারখানা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

এখনি পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সোমবার ( ২৬ জুলাই ২০২১) সচিবালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি-নিকার এর বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠোর বিধিনিষেধের কোনো বিকল্প নেই। বিধিনিষেধ মানতে অনীহা রয়েছে। যারা প্রয়োজনেও বের হচ্ছেন এবং যেসব বরাত দিয়ে বের হচ্ছেন, সেগুলো যাচাই করা হবে। যাচাইয়ে খটকা পেলে সংক্রমণ নিরোধ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্য করে প্রতিষ্ঠান খুললে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা; কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ এবং ওষুধ শিল্পকারখানা বাদে সব শিল্পকারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিস বিধিনিষেধে বন্ধ থাকার কথা।

বিধিনিষেধের মধ্যেও অনেকে শিল্পকারখানা চালু রেখেছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ খুলে থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করছি, কারা খুলছে? যদি খুলে থাকে, প্রমাণ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কঠোর বিধিনিষেধের কোনো বিকল্প নেই। করোনা যেভাবে ছড়িয়ে গেছে, সে বিষয় নিয়ে আজ ক্যাবিনেটে আলোচনা হয়েছে।’

‘রাস্তায় যখন মানুষ নামছে, তখন বলছে আমার চাকরিতে যেতে হচ্ছে। আসলে এটার সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছি। তারা যে সব নাম বলছে, সেগুলো চেক করার চেষ্টা করছি।’

বিধিনিষেধ কঠোর হওয়ার কথা আপনি বলেছিলেন, কিন্তু সেটি মাঠে দেখা যাচ্ছে না- এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু গার্মেন্টস ও রফতানিমুখী কলকারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি, লাখ লাখ শ্রমিক আসা-যাওয়া করতো, সেগুলো কমেছে। এগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণ আছে, যে কারণে মানুষ বাইরে আসছে। অযৌক্তিক কারণে বের হলে কিন্তু আইনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে শুরু করে জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষ বাধাহীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে।’

সম্পর্কিত পোস্ট