মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নির্মাণাধীন ৬৫ শতাংশ ভবনে ডেঙ্গুর লার্ভা: ডিএনসিসি মেয়র

  • নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্মাণাধীন ৬৫ শতাংশ ভবনে আর ওয়াসার পানির মিটারের গর্তের মধ্যে ২৫ শতাংশ ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বাকি লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে পরিত্যক্ত জিনিসে।

সোমবার (২ আগস্ট ২০২১) দুপুরে মিরপুরের শাহ আলী মাজার এলাকায় ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, এখন ৬৫ শতাংশ নির্মাণাধীন ভবনেই এডিসের লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে আর ২৫ শতাংশ ওয়াসার পানির মিটারের গর্তের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বাকিগুলো পরিত্যক্ত জিনিস, ডাবের খোসা, কমোড, দইয়ের বাটি, ফুলের টবসহ বিভিন্ন জিনিসে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে সব এলাকাকে হট স্পট বলা হচ্ছে ডেঙ্গুর জন্য সেসব স্থানে বেশি ফগিং করা হচ্ছে। তবে ফাইন করা হবে ভয়ে যে সব ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি, তারা বাসার ঠিকানা দিচ্ছে না।

তারা ঠিকানা দিলে আমরা ওই এলাকার আশেপাশে এডিস নিধনে পদক্ষেপ নিতে পারি। কিন্তু তারা তা করছে না। এদিকে এডিস মশা নিধনে কোন সেবা সংস্থার সহযোগিতাও মিলছে না।

এসময় নির্মাণাধীন একটি ভবনে ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন সাধ্যমতো চেষ্টা করছে ডেঙ্গু নিধনের। তবে কোন বাড়ির ছাদে ও বেলকনিতে আমরা যেতে পারছি না। মোহাম্মদপুর একটি একটি বাড়ির ছাদে অনেক টায়ার এবং দইয়ের বাটি পাই অভিযানকালে। এই দইয়ের বাটির মধ্যেও ডেঙ্গুর অবস্থান।

নিজের বাড়ি করি পরিষ্কার এই সামাজিক আন্দোলন গড়ে না তুললে ডেঙ্গু নিধন করা যাবে না। মরার উপর খাড়ার ঘা ডেঙ্গু প্রতিহত করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

উল্লেখ্য, ২৭ জুলাই পর্যন্ত এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে ৫০৮টি। নিয়মিত মামলা হয়েছে ২০টি। ২৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টোসহ মিরপুর এলাকার কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট