- পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
শনিবার (৭ আগস্ট ২০২১) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। একটি সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক সৈকত আফরোজ আসাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুল হক আরজু। মামলাটি প্রত্যাহারের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় তারা কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল মতিন খান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, পাবনা টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক রাজিউর রহমান রুমী, মাছরাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো চিফ উৎপল মির্জা, প্রেসক্লাবের সাবেক দফতর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, রিপোটার্স ইউনিটির সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, জনকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি কৃষ্ণ ভৌমিক, ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি আহমেদ হুমায়ুন কবীর তপু, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি সরোয়ার মোর্শেদ উল্লাস, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর আওয়াল কবির জয়, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজ রাসেল, এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি রিজভী জয় প্রমুখ।
মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন পাবনা প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান জানান, মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রতিবাদ সভা ও স্থানীয় পত্রিকাসমূহে প্রতিবাদ হিসেবে কালো করে জায়গা খালি রাখা হবে।
গত ৮ মার্চ জেলার বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। ওই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতারও করা হয়। এ ঘটনায় পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুল হক আরজুকে জড়িয়ে পাবনা মেইল টোয়েন্টিফোর ডটকমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ৯ জুন আরজু ঢাকায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই অনলাইনের সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
আজিজুল হক আরজুর দাবি, গ্রেফতার ব্যক্তিদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। সাংবাদিক সৈকত আফরোজ তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই সংবাদটি প্রকাশ করেছেন। এ কারণে তিনি মামলাটি করেছেন।