- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সাক্ষাৎ করেছেন।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে বিমান হামলা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কাবুল বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবারের সন্ত্রাসী হামলার জবাবে শুক্রবার নানগড়হরে আইএস নেতার অবস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় দুই আইএস নেতা নিহত হয়েছেন। এর আগে বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় ১৩ আমেরিকান সেনাসহ কমপক্ষে ১৭০ জনকে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আইএস-কে।
শনিবার এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘এই বিমান হামলাই শেষ নয়। বিমানবন্দরে ন্যক্কারজনক ওই হামলায় যুক্ত প্রতিটি ব্যক্তিকে খুঁজে বের করব আমরা। প্রত্যেককে তাদের বর্বরতার মাশুল গুনতে হবে।’
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি কিংবা সেনাদের ওপর হামলার চেষ্টা হলে যুক্তরাষ্ট্র যে তাৎক্ষণিক উপযুক্ত জবাব দেবে, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই বলেও সতর্ক করেছেন বাইডেন। বৃহস্পতিবারের আত্মঘাতী হামলায় নিহত আমেরিকান সেনাদের ‘সাহসিকতা ও নিঃস্বার্থ বলিদানের’ জন্য শ্রদ্ধা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট
এ দিকে, পরবর্তী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আইএস কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরও একটি হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সতর্ক করেছেন বাইডেন।
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগড়হর প্রদেশে ওই বিমান হামলায় কোনো বেসামরিক প্রাণহানি হয়নি বলে ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মেজর জেনারেল হ্যাঙ্ক টেইলর। যদিও ড্রোন হামলায় দুই নারী ও এক শিশু আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তালেবান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে তালেবান মুখপাত্র বলেছেন, তালেবানের অনুমতি ছাড়া বা তালেবানকে না জানিয়ে বিমান হামলা চালাতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। এমন ড্রোন হামলাকে ‘আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা’ হিসেবে দেখছে তালেবান।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ শনিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিমান হামলা চালানোর আগে আমেরিকানদের উচিত ছিল, এ বিষয়ে আমাদের জানানো। তা না করেই আফগান ভূখণ্ডে হামলা চালানো হয়েছে, যা স্পষ্টতই আমাদের বিরুদ্ধে হামলা।’
বাইডেনের আশঙ্কা সত্যি করে ইতোমধ্যে কাবুলে আবারও হামলা হয়েছে। তবে এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রোববার বিমানবন্দরের কাছে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিমানবন্দরের পাশের বিস্ফোরণ স্থানের আশপাশে আকাশে প্রচুর ধোঁয়া উড়ছে।
আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ওই এলাকায় একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিস্ফোরণের উৎস একটি রকেট হামলা। বিমানবন্দরের কাছে একটি বাড়িতে আঘাত হানে ওই রকেট।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সরাসরি বিমানবন্দরে হামলা চালানো হয়নি।