- মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার চৌসার গ্রামের একটি মসজিদের কাজ শেষ না হতেই নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি টঙ্গিবাড়ী উপজেলা পদ্মা নদী দিয়ে তীব্র আকারে বয়ে যাচ্ছে। এতে নদী ভাঙনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট ২০২১) সরেজমিনে দেখা যায়, চৌসার মেওয়াতলা জামে মসজিদের এক কোণের কিছু অংশের মাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দিন দিন ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। অসহায়ভাবে তাকিয়ে আছে ওই সমাজের লোকজন। যেকোনো মুহূর্তে মসজিদটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার পূর্বহাসাইল গ্রাম থেকে দিঘীরপাড় পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙছে প্রমত্তা পদ্মা নদী। ঘরবাড়ির পাশাপাশি একে একে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক স্থাপনা। ভাঙনে কামারখাড়া ইউনিয়নের চৌসার গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হতে চলেছে ওই গ্রামের মসজিদটি। কয়েক বছর ধরে মসজিদটির পুনর্নির্মাণ কাজ চলছিল। এখনো সম্পন্ন হয়নি নির্মাণকাজ। এর মধ্যেই মসজিদটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ওই মসজিদের কতিপয় মোতাওয়াল্লি জানান, ৭০ বছর যাবৎ এই স্থানেই ছিল মসজিদটি। আগের ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় পুনরায় মসজিদটি নির্মাণ করার কাজ চলছিল। কিন্তু কাজ শেষ না হতেই নদীতে বিলীন হতে চলছে মসজিদটি।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন বলেন, ওই স্থানের নদী ভাঙনকবলিত মানুষকে ইতোমধ্যে খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তাদের ঘর পুনরায় নির্মাণের জন্য নতুন টিন দেওয়া হবে। এছাড়া তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানেরও ব্যবস্থা করা হবে।