শেয়ারবাজারে অসনিসংকেত
নিজস্ব প্রতিবেদক
ধারাবাহিক পতনে দেশের শেয়ারবাজারে অসনিসংকেত দেখা দিয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ধসের ঘটনা ঘটেছে। লেনদেনের শুরু থেকেই দুই বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের মধ্যে পড়ে। এতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই ধস নামে শেয়ারবাজারে।
লেনদেনের শেষদিকে এসে পতনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে মাত্র ১১টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৭টির। আর ৮০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে নেমে গেছে।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় এই সূচকটি ৪২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের বড় পতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ২৫ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৩৪ কোটি ৬৮ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন কমেছে ৭৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৮৯ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ৩৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩০ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রবি।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম, গ্রামীণফোন, রহিমা ফুড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩০১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৯টির এবং ৪৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।