- নিজস্ব প্রতিবেদক
বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছে। এ সময় ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমানের এমডি ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালসহ বিমান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাতারের রাজধানী দোহা থেকে যাত্রী নিয়ে দেশে ফেরার পথে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট ভারতের নাগপুরে থামে। ওই ফ্লাইটে করে ক্যাপ্টেনের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট দুপুরে মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ। পরে তাঁর মরদেহ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের মর্চুয়ারিতে রাখা হয়। বিমান সূত্র জানিয়েছে, পাইলট নওশাদের মরদেহ এখন উত্তরা পরিবারের কাছে নেওয়া হয়েছে। জোহরের পর বিমানবন্দর এলাকায় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের বলাকা ভবনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, এই পাইলট এর আগেও বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে তাঁর সক্ষমতা দেখিয়ে যাত্রীদেরকে নিরাপদে অবতরণ করিয়েছেন। উনি আজ আমাদের মধ্যে নেই, আমরা অত্যান্ত শোকাবহ।
গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট ২০২১) মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন বিজি-২২ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পরও ফ্লাইটটিকে তিনি দক্ষতার সঙ্গে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করাতে সক্ষম হন। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী ফ্লাইটটি জরুরি ভারতের নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সেখান থেকে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা চলাকালে গত সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়।