মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পর্যটনের সুফল ঘরে তুলতে দক্ষ কর্মী তৈরি করতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

পর্যটনের সুফল ঘরে তুলতে দক্ষ কর্মী তৈরি করতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, ‘পর্যটন শিল্পের প্রসারে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। এ খাত থেকে সুফল ঘরে তুলতে হলে বেশি করে দক্ষ পর্যটনকর্মী তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশে পর্যটন শিল্পে এখনও অনেক বিদেশি কাজ করেন, যেখানে আমাদের দেশীয় লোকবলের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া পর্যটনবিষয়ক কোর্সগুলো এ খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ভূমিকা পালন করতে পারে।’ এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি। এর আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগ।

প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে। দক্ষ পর্যটনকর্মী গড়ে তুলতে পর্যটন করপোরেশন পরিচালিত ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ঢাকা অফিসের বাইরে বরিশাল ও কক্সবাজারে দুটি নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।
মাহবুব আলীর মন্তব্য, ‘বর্তমানে পৃথিবীতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পর্যটন সম্পর্কিত পেশার সঙ্গে যুক্ত। পর্যটন শিল্পের দ্রুত বিকাশের ফলে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বেকারত্ব দূরীকরণে পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের ২০১৮ সালের বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প প্রত্যক্ষভাবে ১১ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, যা ২০২৮ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ১৬ লাখ ৪৮ হাজারে।’

ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ ২০২৮ সালে ১৬১ দশমিক ৮ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছাবে। এ তথ্য জানিয়ে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটন যেকোনও দেশের টেকসই উন্নয়নের হাতিয়ার। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার খাত পর্যটনের উন্নয়নে সমন্বিত ও পরিকল্পিত কর্মকৌশলের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। পর্যটন খাতে বিনিয়োগের জন্য উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনাসহ বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি। শেখ হাসিনার সরকার ইতোমধ্যে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করেছে।’

 

মাহবুব আলীর কথায়, ‘পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে। মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের পর্যটন উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মুজিব উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন ও প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকা হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার স্টিফেন জেমস পিটার।

সম্পর্কিত পোস্ট