- নিজস্ব প্রতিবেদক
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অত্যন্ত ঝুঁকিতে আছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে হলে বিশেষ একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। আর এই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প নেই।
রোববার (২৮ নভেম্বর ২০২১) সন্ধ্যায় গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. এফ এম সিদ্দিকী। তিনি জানান, যেকোনো সময় খালেদা জিয়ার অবস্থা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তখন আর চাইলেও তাঁর জন্য কিছু করার সুযোগ থাকবে না। এই অবস্থায় অনতিবিলম্বে তাঁকে দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘এরই মধ্যে তিন দফায় খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখানে থাকা সুবিধা ও সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। যেভাবেই হোক গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁর রক্তক্ষরণ হয় নাই। তবে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে যেকোনো সময় আবারও রক্তক্ষরণের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই রক্তক্ষরণের মাত্রাও হবে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, এটা তাঁর মতো বয়সের একজন মানুষের জন্য অনেক ভয়াবহ হবে। কারণ এমনিতেই তিনি হৃদ্যন্ত্রের রোগে ভুগছেন। যখন-তখন তাঁর হিমোগ্লোবিন কমে যায়, ডায়াবেটিস আছে, কিডনি রোগ আছে। এই অবস্থায় বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই বিষয়টা তাঁর পরিবারকে জানিয়েছি এবং বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব বিশেষ চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে।’
খালেদা জিয়া এখন ‘স্ট্যাবল’ আছেন জানিয়ে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বলেন, ‘এমন একটা সময় আসতে পারে, যখন তাঁকে নিয়ে যাওয়াটাও অনেক কঠিন হয়ে যেতে পারে। এমনকি ওই অবস্থায় তাঁকে কোথাও নিয়ে যাওয়াও অসম্ভব হয়ে যেতে পারে। এ জন্যই আমরা তাঁকে আগে থেকেই দেশের বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে এসেছি। চার মাস আগে যদি তাঁকে দেশের বাইরে পাঠানো যেত, তাহলে হয়তো এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতো না।’