বিশেষ প্রতিনিধি
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে সংসদের চলতি অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি ২০২২) শেষ হচ্ছে এ অধিবেশন। অবশ্য এদিন সকাল বিকাল দুই বেলা বৈঠক চলবে। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার অধিবেশন শেষ হবে।”
এদিকে শেষদিন সংসদে বহুল আলোচিত অপ্রত্যাশিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন পাস হবে। এই আইনের ভিত্তিতে এই নতুন কমিশন গঠিত হবে।
জাতীয় সংসদের সদস্য এবং ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশন গত ১৬ জানুয়ারি শুরু হয়। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম এ অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের ওইদিন রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। পরদিন সংসদের বৈঠক চলার পর ৫ দিন বিরতি দিয়ে রোববার (২৩ জানুয়ারি) শুরু হয় বৈঠক।
এরপর আবারও দুই দিনের বিরতি দিয়ে আজ বুধবার সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকালের বৈঠকের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ অধিবেশন। সবমিলিয়ে চলতি অধিবেশন পাঁচ কার্যদিবসের চলছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, শুরুতেই চলতি অধিবেশন বেশ কিছুদিন চালানোর জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কয়েক দফায় মুলতবি দিয়ে এ অধিবেশন ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত পরিচালনার চিন্তা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ব্যাপক বিস্তারের কারণে ওই পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে প্রায় ৪০ জনের মতো সংসদ সদস্য এবং সংসদ সচিবালয়ের দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ইকবালুর রহিম বলেন, শীতকালীন অধিবেশন হিসেবে আমাদের আরও কয়েকটা দিন চালানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা বেড়ে যাওয়ায় অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করছি। আমাদের কাছে মানুষের জীবন গুরুত্বপূর্ণ।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সংসদ অধিবেশন কেবল সংসদ সদস্যের ওপর নির্ভর করে না। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তা বাহিনীসহ আরও অনেক লোকের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের ৪০ জনের মতো এমপি এবং সংসদ সচিবালয়ের দুইশর বেশি স্টাফ আক্রান্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এ বৈঠকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ এর আইন পাস হবে বলেও জানান এই হুইপ।
সাধারণত বছরের প্রথম এবং বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হয়। বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা এবং বাজেট অধিবেশনে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার কারণেই এ দুটি অধিবেশন দীর্ঘ হয়ে থাকে। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর ধরে এ দুটি অধিবেশনও সংক্ষিপ্ত হচ্ছে।