- নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটির প্রস্তাব দেয়ার আগেই নামগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশের অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যম থেকেও নাম রাখার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সেমিনার কক্ষে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিরা। এর আগে দুপুর ১টায় সার্চ কমিটির ডাকা বৈঠকে যোগদেন তারা।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বলেন, রাজনৈতিক বিভাজনের এই সময়ে শতভাগ বিতর্ক মুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন কঠিন। তবুও চেষ্টা করতে হবে কোনো বিতর্কিত লোক যেন কমিশনে না আসে। গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেন।
তিনি বলেন, এখানে যাদের নাম দেওয়া হয় তাদের নাম যেন কয়েকদিন আগেই গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এতে নামগুলো নিয়ে জনগণের প্রতিক্রিয়া জানা যাবে।
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত সংখ্যালঘুদের কমিশনে নিয়োগ দেওয়ার মত দিয়ে বলেন, নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুরা। তাদেরকে কমিশনে রাখার পক্ষে মত দিনে তিনি।
আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া উচিত। তাদের নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিন তিনি।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, আমরা বলেছি যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করা হবে তাতে সার্চ কমিটি যেন যোগ্য ও বিতর্কমুক্তদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে দেন। তাদের নাম যেন গণমাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়।