- চট্টগ্রাম ব্যুরো
আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা জিতেন গুহের ওপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়, ন্যক্কারজনক এবং দলের নাম ভাঙিয়ে যারা দলের পরীক্ষিত নেতাদের নিগৃহীত করে এমন দুর্বৃত্তদের জায়গা আওয়ামী লীগে নেই বলে মন্তব্য করেন, তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২ মে ২০২২) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিতেনকে দেখতে যান ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়নের যে জসিম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে, তাকে দল থেকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হবার কারণে। তাকে ইতোমধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আশা করছি, অন্যান্য আসামিও দ্রুত গ্রেফতার হবে।
জিতেন গুহকে আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা হিসেবে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আজকের পর্যায়ে এসেছেন। তার ওপর যে হামলা হয়েছে, সেটি শুধু নিন্দনীয়ই নয়, এটি জঘন্য। যারা হামলা করেছে তারা দল থেকে বহিষ্কৃত।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই আমি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আমাদের দলের সমস্ত নেতাকর্মী জিতেন গুহের সঙ্গে আছে। এ ঘটনার অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। চেয়ারম্যান বিএম জসিমকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে থানা আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে যেন আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।’
আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ খ ম শামসুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ উল্লাহ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ চৌধুরী, কাউছার নূর লিটন প্রমুখ মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।