মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের কল্যাণ আওয়ামী লীগের হাতেই: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের কল্যাণ আওয়ামী লীগের হাতেই। তিনি বলেন, ৭৫ সালে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা মানুষের উন্নয়নের জন্য কোনো কাজ করেনি। যা করেছে নিজের জন্য। মানুষের কোনো জীবনের পরিবর্তন হয়নি। আজকে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন এসেছে। তখন দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের এবং ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় যারা নির্বাচন করেছে। কেউ নির্বাচিত হয়েছেন। কেউ হয়নি। হারা যেতা যা হোক। কেউ কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। তাহলে বিরোধীদল কথা বলার সুযোগ পাবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। এটাই স্বাভাবিক। জনগণের ভোটে চুরি করা। এটা বিএনপির কাজ। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচনে না এসে জালাও পোড়াও করেছে। সেই চরিত্র দেখলাম গত ২৮ অক্টোবর পুলিশ হত্যা করেছে। পুলিশ হাসপাতালে হামলা করে। পুলিশ মারে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা। এখানে কেউ উস্কানি দেয়নি। তারা এটা আরো ঘটাতে হবে। এটাই তাদের চরিত্র।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। গরীব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের লক্ষ্যে জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, মহান অর্জনের জন্য আত্মাত্যাগ করতে হয়। ৬ বছর রিফুজি হিসেবে দেশের বাইরে ছিলাম। ৩২ নম্বরের বাড়িতে আমাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। তখন একটাই লক্ষ্য ছিল মানুষের সেবা করবো। একটা খুনির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। পোল্যান্ড তখন বলেছিল, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আমরা নিতে পারবো না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী আছে তারা করে। সামনে রোজা। যা যা করা দরকার আমরা করবো। মূল্যস্ফিতি যাতে হ্রাস পায় তার জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো। সারাবিশ্বে অর্থনীতি মন্দা। কিন্তু আমাদের দেশে যেমন এমন পরিস্থিতি না হয়, সেই চেষ্টাটা করবো। আমাদের অন্তত চাল কিনতে হবে না। তখনকার অর্থ মন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। তখন আমরা বলেছিলাম , তার মানে বাঙালি জাতি সাহায্য নিয়ে বাঁচবে। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন কৃষি যান্ত্রিকী করণ করে দিয়েছি। এতে কৃষকের খরচও কম হয়। রফতানি ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি রফতানি করতে হবে। যুব সমাজ নিজের পায়ে দাড়াবে। চামড়া এবং পাট শিল্পে গুরুত্ব দেবে। পাটের ওপর রিচার্জ চলছে। আরো চলবে। চামড়া যথাযথভাবে ব্যবহার হয়, সেটি করবো। সাতক্ষীরার টাইলস যাচ্ছে ইতালিতে। শরীয়তপুরের সবজি যায় সুইজারল্যান্ডে।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনি ইশতেহার হাতে নিয়ে বাজেট প্রনয়ন করি। এবারেও সেটি করবো। বিনামূল্যে ঘর করে দিয়েছি। ৩৩ জেলায় কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন নেই। বস্তিবাসীকে ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। দলিত শ্রেনীকেও ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। প্রত্যেকটা এলাকার মানুষ ফ্ল্যাট করে দেবো।

তিনি বলেন, আওয়ামী অফিস আমাদের জন্য আসল জায়গা। এই আওয়ামী লীগ অফিসই মূল শেকড়। বিএনপি আমলে এই অফিস ছিল হাসপাতাল। নেতাকর্মীরা এখানে সবাই থেকেছে। এখানেই খেয়েছেন। আওয়ামী লীগ আমাকে দেশে ফিরে এনেছিল বলেই আজকে এই অবস্থা। তাই আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। দল টা সবচেয়ে বড়। আমার শক্তি দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগ। সংগঠন যখন দাড়ায় তখনই সাফল্য আসে। মানুষের যে বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছে, সেটি মনে রাখতে হবে। অগ্নি সন্ত্রাস থেকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে ভোট দিতে না আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তাই জনগণ আরো বেশি ভোট দিয়েছি।

প্রথমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

 

সম্পর্কিত পোস্ট