১৯তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় বিশ্বের সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং শান্তির সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে উগান্ডার কাম্পালায় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া বক্তৃতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের উত্তরাধিকার সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
ড. হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অটুট সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাদের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেন। তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর এবং তাদের সমর্থনে সকল প্রয়াস গ্রহণের আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্বিগুণ প্রচেষ্টার আহ্বান জানান এবং শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে গঠনমূলক এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ন্যামের নতুন চেয়ারম্যান উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি শুক্রবার এ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধনের পর দুই দিনের আলোচনা শেষে ‘কাম্পালা ঘোষণা’ এবং ফিলিস্তিনের বিষয়ে একটি ঘোষণা গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মায়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক
ন্যাম সম্মেলনের সাইডলাইনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মায়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পাশাপাশি এ দিন অপরাহ্নে নেপাল, বতসোয়ানা ও বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কাতারের প্রতিমন্ত্রী ও ইন্দোনেশিয়ার উপমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদুত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলন ও বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।