প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোযেন লুইস বলেছেন, এই মুহূর্তে রাখাইন এর পরিবেশ প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল নয়। অন্যদিকে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে চীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদের সঙ্গে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) পৃথকভাবে মন্ত্রনালয়ে সাক্ষাৎ করেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোযেন লুইস এবং নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।
দূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ বলেন, চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুরাষ্ট্র। চীনের দুটো সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলাপ হয়েছে। চীন থেকে আমরা আমরানি করি বেশি, রপ্তানি কম হয়। বাণিজ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে চীনের দুটোর সঙ্গে আলাপ হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা এখন বোঝা। প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের সহযোগিতা চেয়েছি। দুটোর সঙ্গে রাখাইলে চলমান উত্তেজনা নিয়ে আলাপ হয়েছে। দ্রুত ভার্সন শুরু বিষয়ে চীন কাজ করছে বলে জানিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আমরা মিয়ানমারের রাখাইনে অস্ত্র বিরতির জন্য কাজ করছি। যেন সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ যেন সুগম হয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন একযোগে কাজ করছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বেইজিং আশা করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যেন যুক্ত থাকে।
এক প্রশ্নের উত্তর চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকারের দিক থেকে প্রস্তাব পেলে চীন এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে। আগামীতে দুই দেশের সম্পর্ক গভীর হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।