মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকার পর্যটনবান্ধব পলিসি তৈরি করেছে: পর্যটনমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ স্থান অর্জন করছে। যা তাদের জিডিপিতেও অবদান রাখছে। কিন্তু আমরা সে অবস্থানে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে, এবং যে পলিসি সরকার তৈরি করেছে তা পর্যটনবান্ধব।’
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত দ্বাদশ বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল এবং টুরিজম মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পর্যটন মন্ত্রী বলেন, মানুষকে জানাতে হবে যে আমাদের পর্যটন খাতে কি কি সুবিধা রয়েছে। এখানে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী পর্যটকদের জন্য কাজ করে থাকে। বাঙালিরা যে অতিথিপরায়ণ জাতি, এটা সেবার মান উন্নত করার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। শুধু কথা নয়, কাজ ও সেবার মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
ফারুক খান বলেন, বিদেশে বিভিন্ন পর্যটনমেলায় অংশগ্রহণের বিষয়ে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেখানে ভালো জায়গায় স্টল নিতে হবে, সৃজনশীল কর্মতৎপরতা ও প্রচারের মাধ্যমে দেশকে উপস্থাপন করতে হবে। বিভিন্ন মেলায় আমাদের বেসরকারি খাতের অপারেটররা যাতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে সেই ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের পলিসিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে একটা হলো অন অ্যারাইভাল ভিসা। আমরা চেষ্টা করছি, যেসব পর্যটকেরা দেশে আসবেন তাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা যেন দেওয়া যায়। এ নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ চলছে। এছাড়া ট্যুরের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারিভাবে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।
টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো মোকাম্মেল হোসেইন, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আফতাব হোসেইন প্রামাণিক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আজ থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ৩ দিনব্যাপী এই মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করছে। মেলায় তিনটি স্টলে ১২টি প্যাভিলিয়নসহ ১৫০টি স্টল থাকছে। সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে থাকছে বি টু বি সেশন, সেমিনার ও রাউন্ড টেবিল ডিসকাশন। এছাড়াও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট