পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদ নির্বাচনে সবকটি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বেলা একটার দিকে ২৬৪ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের প্রায় সবাই কারাগারে থাকা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) ওয়েবসাইটে দেখা গেছে ২৬৪টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে ১০১টি আসনে যাদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত। পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) যথাক্রমে ৭৫টি এবং ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়া মুত্তাহিদা ক্বওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউম) জিতেছে ১৭টি আসন।
অন্যান্য দলের মধ্যে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) ৩টি, জামিয়াত উলামা-ই-ইসলাম পাকিস্তান (জেইউআই-পি) ৪টি, ইশতেহ্কাম-ই-পাকিস্তান (আইপিপি) ও বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) ২টি করে, মজলিশ ওয়াহ্দাত-ই-মুসলিমীন পাকিস্তান (এমডব্লিওএমপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ- জিয়া (পিএমএল-জেড), পাশতুনখাওায় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি পাকিস্তান (পিএনএপিপি), বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি), ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) ও পাশতুনখাওয়া মিলি আওয়ামী পার্টি (পিএমএপি) একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট হয়েছে। একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর শুক্রবার ভোর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা শুরু করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।