এক মাসেই করোনায় ২১ চিকিৎসকের মৃত্যু
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫৫ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসেই ২১ জন মারা গেছেন। এছাড়া মার্চে তিনজন মারা যান। আর এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯১১ জন চিকিৎসক। এছাড়া নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট মোট আট হাজার ২০৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বৃবিতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএমএ-এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৪ এপ্রিল দেশে করোনায় প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল। ওই বছরের জুন মাসে করোনায় সর্বোচ্চ ৪৫ জন চিকিৎসক মারা যান। সেপ্টেম্বর মাস থেকে চিকিৎসকদের মৃত্যুর হার কিছুটা কমে। গত বছর কনোরায় আক্রান্ত হয়ে মোট ১২৫ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
সংগঠনটির তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়ে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মারা যান পাঁচ চিকিৎসক। ফেব্রুয়ারিতে মারা যান একজন। মার্চে মারা যান তিনজন। আর এপ্রিলে ২১ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি। এরপরে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অবস্থান। এসব বিভাগে ১০৫ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা রংপুর, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের। এ পর্যন্ত আক্রান্ত নার্সের সংখ্যা দুই হাজার। এছাড়া আরও তিন হাজার ২৯৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন আট হাজার ২০৭ জন।
দেশে সর্বপ্রথম গত বছরের ১৪ এপ্রিল সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডাক্তার মঈন উদ্দিন আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ঢাকার একটি হাসপাতালে। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সবশেষ ২৭ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও যশোরের একতা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল ওহাব তরফদার। তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসকরা এখন অনেক সচেতন। তবে আরও সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে সরকারের উচিত সম্মুখসারির সেবাদানকারী চিকিৎসকদের প্রতি আরও নজর দেয়া।
###