পাকিস্তানে সদ্য সমাপ্ত প্রাদেশিক নির্বাচনে করাচির একটি আসনে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত-ই-ইসলামীর নেতা হাফিজ নাঈম উর রেহমান। তার অভিযোগ, তাকে কারচুপি করে জেতানো হয়েছে। তাই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক সংবাদে এই তথ্য জানা যায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন এবং চারটি প্রদেশে প্রাদেশিক নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। ফলে পিএস-১২৯ আসন থেকে হাফিজকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কারাবন্দি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
হাফিজের দাবি, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তার থেকে বেশি ভোট পেয়েছেন। কিন্তু পরিসংখ্যানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট কম দেখিয়ে তাকে বিজয়ী করা হয়েছে।
হাফিজ বলেন, তিনি ২৬ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফ বারি ৩১ হাজার ভোট পেয়েছেন। কিন্তু তালিকায় সাইফ মাত্র ১১ হাজার ভোট পেয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে। এভাবে কারচুপি করে তাকে জেতানো হয়েছে। যেটা তিনি মেনে নেবেন না বলে নিজের আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে সোমবার দলীয় এক সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ বলেছিলেন, ‘যদি কেউ অবৈধ উপায়ে আমাদের বিজয়ী করাতে চায়, আমরা সেটা গ্রহণ করব না। জনগণের রায়ের প্রতি সম্মান জানানো উচিত এবং জয়ীকে জয়ী হতে এবং পরাজিতকে পরাজিত বলতে হবে। কাউকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া উচিত না।
বিবিসি জানায়, হাফিজের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। পিএস-১২৯ আসনের কী হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না তারা।
হাফিজের এই ঘটনা পাকিস্তানের নির্বাচনে ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নকে আবারও সামনে তুলে এনেছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটের ফলের স্বচ্ছতা নিয়ে আগেই সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।