মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

গার্মেন্টস মালিকের অদ্ভূত কান্ড ত্রাণ চেয়ে ফোন করে পেলেন শাস্তি

গার্মেন্টস মালিকের অদ্ভূত কান্ড, ত্রাণ চেয়ে ফোন করে পেলেন শাস্তি

অসহায়দের খাদ্য সহায়তা প্রাপ্তির হটলাইন নম্বর ৩৩৩ এ ফোন করে খাদ্য সহায়তা চেয়ে আক্কেলসেলামি গুনলেন এক বিত্তশালী। ওই ব্যক্তির চার তলা বাড়ির পাশাপাশি আছে পোশাক কারখানা। আর এরপরও খাদ্য সহায়তা চাওয়ায় শাস্তি হিসেবে ১০০ মানুষকে খাদ্য বিতরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

সেই ব্যক্তির নাম ফরিদ আহমেদ। বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকায়। খাদ্য চেয়ে ফোন পাওয়ার পর যাচাই বাছাই করে তার সম্পদের বিষয়ে তথ্য পান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা। এরপর বৃহস্পতিবার তাকে জরিমানার এই আদেশ দেন। শনিবার তাকে এই খাদ্য বিতরণ করতে হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ইউএনও নিজেও।

 

করোনাকালে ৩৩৩ নম্বরে কল করলে যাচাই বাছাই করে অসহায় মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে প্রশাসন। তবে সবাইকেই এই খাবার দেয়া হয় না। যাচাই বাছাই করে যাদেরকে সত্যিকারের দুস্থ বলে প্রমাণ পাওয়া যায়, তাদেরকেই দেয়া হয় খাবার। বরিশালে একজনকে খাবার দিতে গিয়ে তার আবাসস্থলের দুরবস্থা দেখে এক নারীকে বিনা মূল্যে বাড়ি দেয়ার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। তবে অভাব না থাকলেও কেবল মজা করার জন্য ফোন করার ঘটনাও ঘটেছে।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটি নিয়ে ইউএন আরিফা জহুরা বলেন, ‘৩৩৩ নম্বরে কল করেন কাশীপুরের ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ। উপজেলা প্রশাসনের লোকজন তার বাড়িতে খাদ্য সহায়তা নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি চার তলা বাড়ি ও পোশাক কারখানার মালিক। সরকারি লোকজনকে হয়রানির দায়ে তাকে জরিমানা হিসেবে ১০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

 

সরকার সহায়তা হিসেবে খাবারের যে প্যাকেট দিয়ে থাকে, একই পরিমাণ খাবার দিতে হবে ওই ব্যবসায়ীকেও।

 

প্রতি প্যাকেটে থাকতে হবে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, এক কেজি করে ডাল, সয়াবিন তেল, লবণ ও পেঁয়াজ।

 

কাশিপুরের দেওভোগ এলাকায় ফরিদ আহমেদের বেশ বড়সড় একটি গেঞ্জি কাপড়ের কারখানা আছে। তবে এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে পারেনি নিউজবাংলা।

 

ইউএনও জানান, কেবল ফরিদ আহমেদ না। ৩৩৩ নম্বরে অনেকই অযথা ফোন করেন। এতে করে সরকারি লোকজন হয়রানির শিকার হন।

সম্পর্কিত পোস্ট