রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনটির সূত্রপাত ইলেকট্রিক কেতলি ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে শতভাগ নিশ্চিত হতে সঠিক তদন্তে কাজ করছে সিআইডি।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে মোবাইল চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
সিআইডি প্রধান বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস যখন সব কাজ শেষ করে, আগুন নেভায়, তখন সিআইডির একাধিক টিম সেখানে কাজ করে। সিআইডির ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যাল আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেখানে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। প্রতিবেদন পেলেই আগুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বেইলি রোডে আগুনের মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর
রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় করা মামলা সিআইডি তদন্ত করছে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলের ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে গত ১ মার্চ রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এতদিন মামলাটি তদন্ত করছিল থানা পুলিশ। তদন্তের শুরুতেই পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে।
চুরি হওয়া ১১২ মোবাইল উদ্ধার
সিআইডি প্রধান বলেন, সাইবার সংক্রান্ত অভিযোগ নেয়ার পাশাপাশি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারে একটি সেল গঠন করে সাইবার পুলিশ সেন্টার। কারো মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানার জিডির কপি ও অন্যান্য প্রমাণসহ সাইবার পুলিশ সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। প্রাপ্ত অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে হারানো মোবাইল ফোনের অবস্থান ও ব্যবহারকারী শনাক্ত করে ফোন উদ্ধার করা হয়। গত ৩ মাসে ১১২টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
মজুত ও কালোবাজারি রোধে মাঠে সিআইডির ১২টিম
সিআইডি প্রধান আরও বলেন, আসন্ন রমজানে ঢাকা সিটিতে কেউ যাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ে কারসাজি করতে না পারে, সেজন্য নজরদারি করা হচ্ছে। আমরা ১২টি টিম গঠন করে দিয়েছি। তারা মাঠে কাজ করছে, নজরদারি চালাচ্ছে। যারা ইচ্ছেকৃতভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছেন, তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি থাকছে।