ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রোজায় সুস্থ থাকার পরামর্শ হলো ইফতারে একবারে বেশি খাবার না খাওয়া। হালকা খাবার দিয়ে শুরু করুন। পানি জাতীয় খাবার বেশি করে খাবেন। ইফতারে পুষ্টিকর খাবার রাখবেন। ইফতারি থেকে সেহরি পর্যন্ত পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি পানি পান করবেন। রমজানে ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়টাতে প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। পানির অপর নাম জীবন।
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার (১২ থেকে ১৪ গ্লাস) পানি পান করা উচিত। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশী পরিমাণে গ্রহণ করা ভালো। পটাসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে। ফল একদিকে শরীরের পানির চাহিদা মেটাবে, অন্যদিকে এর প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে তাই ফল খেতে হবে। ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার যেমন ইসবগুল, সালাদ এ সময়টাতে বেশি বেশি গ্রহণ করা দরকার।
কোল্ড ড্রিংকস, প্যাকেটজাত জুসের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি তাজা ফলের শরবত খাওয়া ভাল। ভাজাপোড়া খাবার মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে থাকতে হবে। যারা ব্যায়াম করে অভ্যস্ত তাদের এ মাসে দিনে ব্যায়াম না করাই ভাল। কারণ পানি পিপাসা অনেক বেশী হতে পারে।
এমনকি ইফতারের আগেও ব্যায়াম নয়। সবচেয়ে ভালো উপায়, হালকা ইফতার করে প্রয়োজন মতো ব্যায়াম করে ভারী খাবার খাওয়া। যাদের ডায়াবেটিস মুখে খাওয়ার ওষুধ ও ইনসুলিন নেন। তারা সকালের ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ ইফতারে নেবেন। আর রাতের ডোজের অর্ধেক সেহরিতে নেবেন। এভাবে থাকলে ডায়াবেটিসের রোগীরা ভালো থাকতে পারবেন।