আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতকে বর্জন করে সম্পর্ক নস্ট করার অপচেষ্টা করছে বিএনপি। এটা পাগলামি আর অবাস্তব কর্মকাণ্ড ছাড়া কিছু নয়। তারা কতটা দেউলিয়া আর বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, একটা রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হলে, অবিবেচক হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের মতো কথা বলতে পারে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, একজন নেতা নিজের চাদর ছুড়ে ফেলে দিয়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন তুলে ধরেছে। এটা কতটা অবাস্তব? এটা কী করে সম্ভব? আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটা বড় অংশ ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। এতে পরিবহন খরচ অনেক কম হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ভারতের সাথে বৈরিতার কারণে এদেশেরই বেশি ক্ষতি হয়েছে।
ভারতের সাথে দেশের সম্পর্ক নষ্ট করা বিএনপির মানসিক সমস্যা। নির্বাচনে না আসার ভুলের খেসারত দিতে গিয়ে উদুর পিন্ডি ভুদুর ঘাড়ে চাপাচ্ছে তারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির প্রায় সব নেতারাই জেল থেকে বেরিয়েছে তারপরও তাদের বিবৃতির শেষ নেই। বিএনপির এমন আচরণে ভারতের সাথে এদেশের সম্পর্কের কোনো ঘাটতি হবেনা।
বিএনপির আন্দোলনের জবাব আওয়ামী লীগ ঠান্ডা মাথায় দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাঁটুভাঙা কোমর ভাঙ্গা দল নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো ভাবনা নেই। ভারতীয় পণ্য যারা বয়কট করবে বাংলাদেশের মানুষও তাদের কেমন বয়কট করবে। জাতীয় স্বার্থেই ভারতের সাথে এদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ আছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশী দেশের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করার সুবিধা আদায় করা সম্ভব।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ করবো, মহানগর উত্তর, দক্ষিণ আয়োজন করবে। আমাদের একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করবো। সে জন্য প্রোগ্রামটি বাইরে করবো।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।