নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বুধবার দুপুরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন বিএনপি নেতা ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। বেশি কিছু পরিক্ষা-নিরিক্ষা করা হয়। এক পর্যায়ে রাত ১০টায় এভার কেয়ার হাসপাতলে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে ধীরে ধীরে কিছুটা সুস্থ বোধ করায় সবার মাঝে স্বস্থি ফিরে আসে এবং হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। আপাতত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষনে ফিরোজাতেই তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টার পর বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাডাম এখন ভালো আছেন। তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ।
রাত ১২দিকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া দুপুরের দিকে অসুস্থতা বোধ করেন। এরপর চিকিৎসকরা তার বেশকিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করান। রাতে তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করায় হাসপাতাল না নিয়ে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
তবে, প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ডা. জাহিদ।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল (বুধবার) খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন। মনে হয়েছিল হয়তো আর সময় পাওয়া যাবে না। আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া। সেই অবস্থা ফিরে আনতে সক্ষম হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন। মনে হয়েছিল হয়তো আর সময় পাওয়া যাবে না। আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া। সেই অবস্থা ফিরে আনতে সক্ষম হয়েছে।