বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকের ডাকাতি, অস্ত্র লুট, মসজিদে হামলা ও অপহরণের ঘটনায় যৌথবাহিনীর কম্বিং অভিযানে দুটি অস্ত্র ও কয়েকজন পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময়ের পর দুপুর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সেনাপ্রধান। এর আগে গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পর ওইদিন রাত থেকে যৌথ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
সেনাপ্রধান বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছেনা। তবে প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে গতকাল রাত থেকে কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথবাহিনীর অভিযান চলবে।
তিনি বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে কেএনএফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আলোচনা চলছিল। দুটি মুখোমুখি সংলাপ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে, তৃতীয় বৈঠকের আগেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো। বমদের সানডে আয়োজনে ৩১ মার্চ রুমায় বেতেলপাড়াসহ সবগুলো গির্জায় সেনাবাহিনী কেক পাঠিয়েছে, উৎসব আয়োজনে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু গত ২ এপ্রিল তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো, মনের ভেতরে কী আছে সেটি তো জানা মুশকিল। তবে সরকার তাদের বিশ্বাস করেছিল আর কেএনএফ বিশ্বাস রাখেনি।
তিনি আরও বলেন, কম্বাইন্ড অপারেশন এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে। তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়। কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবে না, কিন্তু সুফল ভোগ করবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।