মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেরাই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, অতীতে কখনই বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেটা বাদ দিয়ে তা দলীয় প্রতীকে শুরু করেছে। আমরা কিন্তু লিখিতভাবে এটার প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। সেসময় বলেছিলাম যে, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে দেশের সামাজিক সংস্কৃতি বিনষ্ট হয়ে যাবে। তারই ফল কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে ঘরে ঘরে দ্বন্দ্ব। এখন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরাই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সহসম্পাদক হৃদরোগে আক্তান্ত ডা. পারভেজ রেজা কাকনের শারীরিক খোঁজখবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে গিয়ে বিএনপির অসুস্থ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার শারীরিক অবস্থা খোঁজ খবর নেন ড. আব্দুল মঈন খান। রফিকুল ইসলাম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণকে আওয়ামী লীগকে বর্জনের পর আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে যে, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করা হলে দেশের সামাজিক কাঠামোটা ভেঙে যাবে। আমি বিশ্বাস করি এ উপলব্ধি থেকেই তারা দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন করছে না। নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে। সুতরাং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ছাড়া এবং এ সরকার ও তাদের সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবো না। তবে গ্রামে-গঞ্জে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কে যাবে কে যাবে না সেটা তো বিএনপি দলীয়ভাবে দেখতে পারে না।
তিনি বলেন, হামলা-মামলা ও গুলির মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমনের জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার।তারা বিরোধী দল দমনসহ বিএনপিকে ভাঙতে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে।
মঈন খান বলেন, দল গোছানো ও সংগঠন পুনর্গঠন করা চলমান প্রক্রিয়া। রাজনীতি কোনো কাপড় নয় যে, সাজিয়ে গুছিয়ে আলনা বা আলমারিতে রাখা যায়। আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে কারও বিরুদ্ধে ৩০০ থেকে ৫০০ পর্যন্ত মামলা আছে। সরকারকে বলবো- প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে একটি আদর্শের রাজনীতিতে ফিরে আসুন। বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ড. মঈন খান অসুস্থ কাকনের শারীরিক ও পারিবারিক অবস্থান খোঁজ নেন।

সম্পর্কিত পোস্ট