সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুবিধা মানুষের কাছে তুলে ধরতে দেশের ৬৪ জেলায় মেলা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার রাজশাহী নগরীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া মেলার উদ্বোধন করবেন। মেলায় মোট ৭০টির মতো বুথ থাকবে। মেলার স্টলগুলোতে সর্বসাধারণের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন ও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অর্থ জমাদানের সুযোগ থাকবে। আর্থিক লেনদেনের জন্য সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী, সিটি ও ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ থাকছে।
মেলায় রাজশাহীর ৯টি উপজেলারও পৃথক পৃথক বুথ রাখা হয়েছে। উপজেলাগুলো হলো- গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট, পবা ও পুঠিয়া। উপজেলার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে উপজেলা নির্বাহী অফিসের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম। এছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও সামাজিক বিভিন্ন সংস্থা অংশগ্রহণ করবে। সঙ্গে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা তার প্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে, যাতে সব স্তরের জনগণ মেলায় এসে সর্বজনীন পেনশনের সুবিধাগুলো সরাসরি জানতে পারে। থাকবে কর্মশালা ও উন্মুক্ত আলোচনা।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্যানুসারে ৯ মাসে চারটি স্কিমে নিবন্ধন নিয়ে যুক্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৪৭ জন। সর্বস্তরের জনগণের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে শুরু করা পেনশন স্কিমগুলোতে সবার অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে মূলত এমন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম এবং সমতা স্কিম-এ চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। চালুর প্রথম দিন থেকেই সাড়া মিলছে। ক্রমাগত যা ঊর্ধ্বমুখী। পেনশন বিধিমালা বলছে, সর্বজনীন পেনশন প্রথায় যার যত টাকা জমা, মেয়াদ শেষে তার তত বেশি পেনশন। অন্যদিকে স্বল্প আয়ের মানুষদেরও বিমুখ করবে না এ উদ্যোগ।
যারা মাসিক ৫০০ টাকা জমাবেন, তাদের জন্য শুরু থেকেই থাকবে সরকারের আরও ৫০০ টাকার ভর্তুকি। সবমিলিয়ে সবার জন্যই থাকছে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বাড়তি কয়েকগুণ মুনাফা।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধনের পর থেকে ৯ মাসে চারটি স্কিমে নিবন্ধন নিয়ে যুক্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৪৭ জন। চারটি স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারি হিসাবে ৪৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা জমা হয়েছে। যার মধ্যে প্রবাস স্কিমে ৫৯৮ জন, প্রগতিতে ১১ হাজার ১০৫ জন, সুরক্ষায় ১৬ হাজার ৩৭৬ জন এবং সমতা স্কিমে ২৬ হাজার ৫৮০ জন যুক্ত হয়েছেন।