বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন রাজনৈতিক মামলায় বিএনপির কেউ জেলে নেই, তারা বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে একটা কথা বলি, এক-এগারোর সময় আপনাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল, সেগুলো গেল কোথায়।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যেকোনো সময় তারা চোরাবালিতে ডুবে যেতে পারে। সরকার এখনো আতঙ্কিত। কেন আতঙ্কিত জানেন, আতঙ্কিত এই জন্য যে তারা তো জানে জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। ৯৫ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। সে আমি আর ডামি, আমরা আর মামুদের নির্বাচন করেছে। এই যে অবৈধ নির্বাচন, এই যে অবৈধ সরকার- এটা তো চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় এই গদি বালুর মধ্যে ডুবে যেতে পারে।
এ জন্যই সরকার হাবিবুর রশিদ, হাবিব-উন নবী খান, সাইফুল আলম, আবদুল কাদের ভূঁইয়াসহ বিএনপি নেতাদের আটক করে রেখেছে। ভয় থেকেই এই গ্রেফতার বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
সরকার মুখে যা বলে, তলেতলে উল্টোটা করে বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। এ প্রসঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, উনি একটা কথা বলেন তলেতলে। এ জন্য ওরা প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারে না। ওরা তলেতলে কাজ করে। দেখবেন, মুখে যেটা বলে তলেতলে করে আরেকটা। ইসরায়েলের বিমান বাংলাদেশে কী করে এল। কী গোপন সম্পর্ক, প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে জানতে চাই।
উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, এই প্রচণ্ড রোদের মধ্যে আপনাদের যে আত্মপ্রত্যয় দেখেছি, আমি বিশ্বাস করি, সরকারের পতন হবেই হবে। পৃথিবীতে ভালোর জয় হয়, মন্দের পরাজয় হয়। সুতরাং সরকারের পতন অনিবার্য।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশ করে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক মামলায় আদালত জামিন নামঞ্জুর করে হাবিবুর রশিদকে কারাগারে পাঠান। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক আবদুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির প্রমুখ।