মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
চলমান তাপপ্রবাহের কারণে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (২০ এপ্রিল) এই সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খুলবে।
পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। আগামীকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ ছিল। কিন্তু দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল তিন দিনের জন্য দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ জন্য সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্টও জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর দাবি ছিল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের।
প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরম আরও কয়েক দিন থাকবে। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।  প্রতিবেশি দেশ ভারতের অনেক এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক অভিভাবক ফেসবুবে নিজের সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে ও উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছিলেন।
দেশে সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র এবং বেশির ভাগ অঞ্চলে মাঝারি ও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরম আরও পাঁচ থেকে ছয় দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য বলছে, দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রাথমিক স্তরের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী ২ কোটি ১ লাখের বেশি। এর মধ্যে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। সরকারি এসব স্কুলে পড়াশোনা করে প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ শিক্ষার্থী। কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রাথমিক স্তর আছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। কিন্ডারগার্টেনসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে না।
দেশে মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো হয় ২০ হাজার ৯৬০ বিদ্যালয়ে। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১ লাখের বেশি।

সম্পর্কিত পোস্ট