মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় ৩৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সিআইডির দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
এ দিন আসামিদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন বরকত, ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও এ এইচএম ফুয়াদকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা ঢাকা টাইমসের সম্পাদক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলনসহ সাত আসামি আদালতে হাজিরা দেন। অপর ৩৬ জন পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ মে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য করেন আদালত।
জানা যায়, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। গত ২২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আদালত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসংগতি দেখতে পাওয়ায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৬ জনকে আসামি করে মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
উল্লেখ্য, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ জুন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বরকত ও তার ভাই রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

সম্পর্কিত পোস্ট