মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের ফিউনারেল প্যারেড শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনা তথা বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের ‘ফিউনারেল (মরণোত্তর) প্যারেড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার’র প্যারেড গ্রাউন্ডে এই ফিউনারেল প্যারেড এবং দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এ সময় বীর শহীদ স্কোয়াড্রন লিডার জাওয়াদকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এবং নৌবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে ঢাকা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আইএসপিআর জানায়, অনুষ্ঠানে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের পরিবারের সদস্য, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ফিউনারেল প্যারেড শেষে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে মানিকগঞ্জ সদর কবরস্থানে বাদ জুমা তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক এর প্যারেড গ্রাউন্ডে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। দুর্ঘটনার পর ওই বিমানে থাকা উইং কমান্ডার মোঃ সোহান হাসান খাঁন এবং স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। পরে ওই বৈমানিকদের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তড়িৎ চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, এক পুত্র, বাবা-মা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বৈমানিকরা অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে বিমানটিকে বিমান বন্দরের নিকট অবস্থিত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন। মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ ২০১০ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের সকল বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য গৌরবান্বিত ‘সোর্ড অব অনার’ প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট