প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইউএই’র বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ নিয়ে আসতে পারে।”
শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেফ আলহামউদির সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ চাকরি নিশ্চিত হয়ে বাংলাদেশি জনশক্তিকে ভিসা দেবে। খানের মতে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে তারা বাংলাদেশ থেকে জনবল নেবেন যাদের জন্য চাকরি অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে কোনো অবৈধ অভিবাসীকে অনুমতি না দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। “উভয় দেশ এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে সম্মত হয়েছে,” যোগ করেন তিনি।
বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছু মন্ত্রী খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার নতুন উপায় খুঁজবেন।
তিনি বলেন, “আমাদের ইতোমধ্যেই বেশ বিস্তৃত এবং গভীর বন্ধন রয়েছে, তবে আমরা এটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী।”
আলহামউদি উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২০,০০০ মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস প্রতিদিন প্রায় ১০০০টি ভিসা দিচ্ছে, সরাসরি ৫০০ এবং ৫০০টি এজেন্টদের মাধ্যমে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ইউএই’র প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তাঁকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেহেতু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ প্রত্যাশ করেছেন সে বিষয়ে আলহামউদি বলেন, যারা আগামী দিনে বাংলাদেশ সফর করতে আসা ইউএই’র মন্ত্রীগণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
ইউএই রাষ্ট্রদূত কন্টেইনার টার্মিনালসহ বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, সরকার সব সেক্টরে সবকিছুর গতি বাড়াচ্ছে। “আমরা গতি বাড়ানোর জন্য সবকিছু করছি,” বলেন তিনি।
ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের একটি কোম্পানি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচলে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) সরবরাহ করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, প্রক্রিয়াটি মূল্য আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়টি এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
নিরাপত্তার কারণে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে এখন ভ্রমণের আগে এয়ারলাইন্স থেকে যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্যের প্রয়োজন হয়। এটি অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) নামে পরিচিত।
সুত্র: বাসস